জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্বসংক্রান্ত টানাপোড়েন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির বহিষ্কৃত নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দাবি করেন, “আমরা এখনো স্বপদে বহাল আছি। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও বহাল রয়েছেন।”
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কর্তৃক মহাসচিব চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এবং তাকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত “অবৈধ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী”। তিনি দাবি করেন, ওই সিদ্ধান্তে যেই প্রেসিডিয়ামের বৈঠকের কথা বলা হয়েছে, তাতে কোরামই হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম বলেন, “চেয়ারম্যান একা মিটিং ডাকতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রেসিডিয়ামের সভা আহ্বান করেন মহাসচিব, চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেই। এছাড়া সম্মেলন ঘোষণার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো পদে পরিবর্তন করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমরা গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছি। অথচ আমরা শুধু ২০(ক) ধারা বাতিল, হিসাবের স্বচ্ছতা এবং বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। এটা কোনো অপরাধ নয়।”
জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের অসুস্থতার সময় জিএম কাদেরের ক্ষমতা গ্রহণকেও ‘জোরপূর্বক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদের মন্তব্য:
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “জাতীয় পার্টি ছোট হতে হতে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমরা সবাই চাই ঐক্যবদ্ধ একটি জাতীয় পার্টি।” তিনি অভিযোগ করেন, “জি এম কাদের একে একে সবাইকে বের করে দিয়েছেন।”
উপস্থিত নেতারা:
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটি ইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. আরিফুর রহমান খানসহ জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান নেতা।