জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ভারতের একতরফা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল আসলে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি ও প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের মাধ্যমে যেভাবে ভারত নিজের স্বার্থে বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে, ঠিক সেই পথে ড. ইউনুসকে বশে আনতে না পেরে এখন ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে।”
রোববার সকালে পল্টনের শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করা হয়েছিল “ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের প্রতিবাদে ও ভারতকে প্রদত্ত সকল ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা বাতিলের দাবিতে।”
রাশেদ প্রধান বলেন, “ভারত যেন ভুলে না যায়—বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধার ওপর নির্ভর করেই তাদের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অবস্থায় টিকে আছে। বাংলাদেশের করিডোর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার না করতে পারলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশই এই অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্র-নিয়ন্ত্রক দেশ। তাই এখনই সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া। ভারতের সঙ্গে হাসিনার আমলে করা সকল গোপন চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা বাতিল করতে হবে।”
ভারত সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভারত কখনোই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিল না। ১৯৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের করদ রাজ্যে পরিণত করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। এদেশে তাদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখতে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বন্ধ করা উচিত।”
তিনি উল্লেখ করেন, “নরেন্দ্র মোদি যখন গরু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিল, তখন আমরা কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন বাংলাদেশের মানুষ ভারতের চিকিৎসা ও ভ্রমণ বর্জন করছে, এতে ভারতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এবার সময় এসেছে ভারতীয় পণ্য সম্পূর্ণরূপে বর্জনের।”
জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, ঢাকা মহানগর জাগপার সদস্য সচিব মাহিদুর রহমান বাবলা, ঢাকা জেলা জাগপার সহসভাপতি জিয়াউল আনোয়ার, ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম ও ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী প্রমুখ।