ঐকমত্য কমিশনের চলমান আলোচনার তৃতীয় দিনের শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আলাদা আলাদা বৈঠকে নিজেদের প্রস্তাব ও বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। এরপর গত তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ হলেও এখনো এনসিসি গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
মঞ্জু আরও বলেন, “জনগণ চায় রাজনৈতিক দলগুলো যেন একটি কার্যকর ঐকমত্যে পৌঁছায়। যারা এতদিন প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার শিকার হয়েছে, তারা আজও যদি গঠনমূলক সংস্কারের প্রশ্নে আগ্রহহীন থাকে, তবে সাধারণ নাগরিকরা হতাশ হয়ে পড়বেন।”
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঞ্জু বলেন, “রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার চেয়ে মর্যাদার প্রশ্নটি বড়। বর্তমান ব্যবস্থায় একজনকে ‘সালাম’ করলেই রাষ্ট্রপতি বানানো যায়—এটা বদলাতে হবে। তাই এবি পার্টি সংসদ সদস্যদের বাইরে একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাব সমর্থন করে।”
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত আলোচনায় দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, “কর্তৃত্ববাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে একজন ব্যক্তি যেন টানা বা অন্য যেকোনোভাবে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন—সে ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।”
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে ব্যারিস্টার সানী বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এর অনুপস্থিতি থাকলেও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের স্বার্থে এবি পার্টি এখন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিচ্ছে।”
সব মিলিয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মাঝে মতপার্থক্য থাকলেও একটি সম্মিলিত ও টেকসই রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের জন্য আলোচনার দ্বার খোলা থাকছে বলে জানা গেছে।