স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চান লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। সোমবার (৩০ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্টে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
একটি পোস্টে খালেদা জিয়ার ছবি শেয়ার করে পিনাকী লেখেন,
“নতুন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি—যার হাতে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর জাতীয় মর্যাদার পতাকা সবসময় সুরক্ষিত ও সমুন্নত থাকবে।”
আরেকটি পোস্টে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন,
“চুপ্পু যাইতেছে, কে হইতেছে নতুন প্রেসিডেন্ট? উত্তর পাইতে একটু অপেক্ষা করেন।”
পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও একটি ভিডিও বার্তায় পিনাকী বলেন—
“বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি শুধু বিএনপির নেত্রী নন, তিনি ইতিহাসের মহানায়ক। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন মাথা উঁচু করে সংগ্রাম করতে। আজ তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে একটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন,
“খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস—এই দুই অভিভাবক মিলে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করতে পারেন। আমরা উনাকে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে সম্মানিত হতে চাই। উনার অভিভাবকত্বে নির্বাচন হলে এর চেয়ে ভালো নির্বাচন আর হতে পারে না।”
পিনাকী ভট্টাচার্যের মতে, সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথও যেন খালেদা জিয়ার কাছেই হয়—এমনটিই তিনি চান। তিনি বলেন,
“এই সুযোগ আমরা হারাতে চাই না। রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পেলে বাংলাদেশ একটি নীতিনিষ্ঠ, গণতান্ত্রিক নতুন যাত্রায় এগিয়ে যেতে পারবে।”
প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া
তবে পিনাকীর এই প্রস্তাব নিয়ে এখনও বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি প্রতীকী ও রাজনৈতিক বার্তা হতে পারে, যা আগামী দিনের সম্ভাব্য জাতীয় ঐক্য সরকার বা বিকল্প কাঠামো নিয়ে বিতর্ক উসকে দিচ্ছে।