সদরুল আইনঃ
নির্বাচন পেছাতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, যত দিন হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, তত দিন কেউ যেন নির্বাচনের কথা না বলে।
সারজিস আলমের এই বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার বিএনপি চায়, বিচার করতে কেউ নিষেধ করেনি। বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছে, এই গণহত্যার বিচার হতে হবে। দ্রুত বিচার হতে পারে।
কিন্তু কথা হচ্ছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো অজুহাত তৈরি করা যাবে না। আমার মনে হচ্ছে, কিছু লোক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য, নির্বাচন না করার জন্য একটা অজুহাত তৈরির পায়তারা করছে। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত কাজ করছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নতুন দলকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন করার জন্য তাদের সময় দিতে হবে, এ রকম কোনো কথা তো নেই। খুব তিক্ত কথা হবে, আমরা কিন্তু কোটা আন্দোলনে কিংবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কখনো দল গঠন করা হবে, এমন কথা শুনিনি। দল গঠন করেছেন, দল শক্তিশালী হোক। দুই দিনে একটা দল প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।
মির্জা আব্বাস বলেন, দুই দিনে যদি দল গঠন করে কালকেই যেতে পারে (নির্বাচনে), খুব জনপ্রিয় যদি মনে করেন তারা, পরীক্ষা করুক না, অসুবিধা কী? জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না। যা ভাবছেন আপনারা, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনো অজুহাত জনগণ পছন্দ করছে না।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশ স্থিতিশীল থাকলে অনেকের ক্ষতি হবে। আমাদের প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি হবে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো অজুহাত জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এখন যেটা হচ্ছে, যেটাতে সবচেয়ে ভয় পাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট তাড়াতে গিয়ে নিজে যেন ফ্যাসিস্ট হয়ে না যাই। অনেকের কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, দেশে নতুন আরেকটা ফ্যাসিজম পয়দা হয়েছে। এটার জন্য তো দেশ-জাতি আন্দোলন করেনি।
এখন বাক্স্বাধীনতা আছে, কথা বলতেই পারে। কিন্তু আমার চিন্তা-চেতনা, মতামত আরেকজনের ঘাড়ে জোর করে চাপিয়ে দেব, এটা হতে পারে না। তবে কিছু লোক ইদানীং…আমি বাচ্চাদের কথা বলছি না, তারা কথাবার্তা বলছে, তাতে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী মনোভাব স্পষ্ট হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না।