সদরুল আইন:
সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ আগামী নির্বাচন আয়োজনে বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের কাজ হচ্ছে সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য তৈরি করা। এই কমিশন তাদের কাজ করবে। আর নির্বাচন কমিশন ও সরকার নির্বাচন আয়োজনের কাজ এগিয়ে নেবে”।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই কমিশন ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে প্রস্তাব আকারে ১৬৬টি সুপারিশ পাঠিয়েছে।
এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি, জনপ্রশাসনে ২৬টি এবং দুর্নীতি দমনের সুপারিশ নেয়া হয়েছে ২০টি।
সংস্কার বাস্তবায়ন কিভাবে হবে সেটি নিয়েও বিস্তারিত জানানো হয়েছে লিখিত বক্তব্যে।
ঐকমত্য কমিশন জানায়, অধ্যাদেশ, গণভোট, গণপরিষদ, নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারসহ ছয়টি পন্থায় সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে।
কবে নাগাদ এই সংস্কার করা হবে, কিংবা দলগুলো ঐকমত্যে না পৌঁছালে সংস্কার কিভাবে হবে- এসব প্রশ্নও আসে সংবাদ সম্মেলনে।
জবাবে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “১৫ই জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন চেষ্টা করবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে”।
“আগামীকাল মঙ্গলবার যদি সকল রাজনৈতিক দল একমত হয় সুপারিশগুলোতে, তাহলে পরশুই কাজ শেষ হয়ে যাবে”, যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, এই সংস্কার শুধু আগামী নির্বাচন কেন্দ্রিক না। এই সংস্কার প্রস্তাব আগামী দিনের বাংলাদেশের সনদ।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “মতামতের জায়গা রাখা হয়েছে। যে কোন দল বা জোটের মতে না মিললে তারা নতুন করে মত দিতে পারে”।