বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে দেখতে হলে সরকার নয়, গোটা জাতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিপ্লবী যুব সংহতি।
সাইফুল হক বলেন, “ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে দলভিত্তিক নয়, রাষ্ট্রভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বাংলাদেশকে দেখলে ভুল হবে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জন্য যে সম্মান ও ভারসাম্য প্রয়োজন, তা বজায় রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ভারত মনে করে বাংলাদেশ একটি অনুগত ক্লায়েন্ট রাষ্ট্র হয়ে থাকবে, তবে তা ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। ভারতকে এই সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
সম্প্রতি ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, “ভারত আমাদের বাণিজ্যিক সুবিধা একতরফাভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী আমরা নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানি করতাম। আন্তর্জাতিক চুক্তি এভাবে unilateral বা একপাক্ষিকভাবে স্থগিত করা যায় না।”
গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার। সরকারের উচিত এ ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া।”
তিনি সরকারকে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান:
- পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত সব দেশে ভ্রমণযোগ্য’ উল্লেখ থাকাটা পুনর্বহাল করতে হবে, যেমনটি আগে ছিল।
- ইসরায়েলের তৈরি নজরদারি যন্ত্রপাতি গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে আমদানি করে ব্যবহৃত হয়েছে—এই তথ্যগুলো প্রকাশ্যে আনতে হবে এবং এগুলোর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
- ইসরায়েলি পণ্যের বর্জন ও বয়কট নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সরকার ও জনগণ উভয় পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার বার্তা যায়।
তিনি বলেন, “জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার—গণহত্যার বিরুদ্ধে, মানবতার পক্ষে।”