জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঘোষণা আসছে। দলগঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা বিশ্বস্ত সূত্রগুলো বলছে, এক দফা আন্দোলনের ঘোষক ও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ইসলাম আগামী ১৮ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করে নতুন দলে যুক্ত হচ্ছেন। তিনি এই দলের আহবায়ক হচ্ছেন এটা প্রায় চুড়ান্ত। সদস্য সচিব হচ্ছেন আখতার হোসেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণার প্রাথমিক তারিখ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৫/২৬ তারিখের বিষয়েও ফোরামে আলোচনা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নাগরিক কমিটির ৭০ জন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ জন থেকে ৫১ অথবা ১০০ সদস্যর নাম প্রকাশ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সেটি আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই দল ঘোষণা আসবে। জুলাইয়ের দুই হাজার শহীদ পরিবার এবং ৩১ হাজার আহত ব্যাক্তিদের সামনে রেখেই দল ঘোষণা আসবে। তার আগে আগামী ২০ তারিখ ছাত্রদের অংশ থেকে নতুন একটি ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা হবে। সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা ছাত্রদের নিয়ে শক্তিশালী উইং থাকবে।
নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দলের নাম কি হতে পারে তা এখনো ঠিক হয়নি। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে নাম চুড়ান্ত করা হবে। তাঁর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা করা হবে। সদস্য সচিব কে হবেন এটা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে আখতার হোসেনকেই সবাই অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, প্রধান সংগঠক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক মাহিন সরকার, নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা রাফে সালমান রিফাত, আলী আহসান জোনায়েদ ও আরিফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা বলছেন, শহীদ পরিবারের চাওয়া, চাহিদা এবং তাদের পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই দলের ঘোষণা আসবে। একই সঙ্গে চব্বিশের আন্দোলনে আহত যোদ্ধাদের রাখা হবে গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদায়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দল ঘোষণার পর জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদের বাড়ি থেকে লংমার্চ শুরু করে চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিমের বাড়ি পর্যন্ত লংমার্চ কারার প্রাথমিক কর্মসূচী রাখা হয়েছে। এই লংমার্চ চলবে অন্তত ১৫ দিন। ১৫ দিনে পথে পথে কর্মসূচিতে সব দল মতের মানুষের অংশগ্রহণ পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়াও জানা যাবে। রাজপথে লংমার্চ থেকে উত্তর দেওয়ায়ও সুবিধা হবে।