ঢাকা: জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সহনশীলতা এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে। শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দলের আমির শফিকুর রহমান কূটনীতিকদের কাছে দলের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরেন।
এতে জামায়াতের আমির জানান, তারা দেশে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থা চালু করার পক্ষে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিও জানান। তিনি বলেন, “এই ব্যবস্থা জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত করবে এবং ফ্যাসিবাদী শাসন পুনরায় ফিরে আসার পথ রুদ্ধ হবে।”
ইফতার মাহফিলে জামায়াতের নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন, তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের পাঁচ শীর্ষ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে এবং অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা বা গুম করেছে। তবুও, তারা বাংলাদেশে ২০১৩ সালের জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ব্রিটিশ, চীনা, রাশিয়ান, ফরাসি, অস্ট্রেলিয়ান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুর্কি, পাকিস্তানি, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং আরও অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের কাছে এই বিষয়ক পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবে।