ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: সাম্প্রতিক জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের বিষয়টি উল্লেখ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দেশে বিরোধী মত দমন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এতে শেখ হাসিনার সরকার চাপে পড়েছে। জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে এক ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের সংগ্রাম চলবে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের সময় শেষ হয়ে আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক করতে, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং বিএনপির নির্বাসিত নেতাদের দেশে ফেরানোর জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।”
বিএনপি নেতারা মনে করেন, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আরও বাড়লে শেখ হাসিনার সরকার একতরফা শাসন টিকিয়ে রাখতে পারবে না। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের পাশে থাকবে। আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে হবে, বাংলাদেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে।”
সরকারি দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নাকচ করে বলা হয়েছে, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, “বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকলে সরকারকে কিছুটা হলেও নীতিগত সমঝোতায় আসতে হতে পারে। তবে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।