ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সভাপতি স্বপন কুমার সাহা বলেছেন, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনেই ভাসানী স্বাধীনতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি ৬, ৭, ৮ ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে ৫৪টি তোরন নির্মাণ করা হয়। প্রথম তোরনটি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নামে নামকরণ করা হয়। অন্যান্য তোরনটি বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাদের অবদান ছিল তাদের নামকরণ করা হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্য আচরণের কারনে এই সম্মেলনের আহ্বান করেন। এই ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী কাগমারী সম্মেলনের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানকে আস্সালামু আলাইকুম জানিয়েছিলেন। মওলানা ভাসানী ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম দাবি ছিল শায়িত্ব শাসন। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা ১৯৫৬ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি সেমিনারে গিয়ে বক্তব্যে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে ৯৮ ভাগ শায়িত্ব শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মওলানা ভাসানী ঐদিন কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট ব্যক্তিগন। তাই মওলানা ভাসানী তিনি কাগমারী সম্মেলন থেকে একটি ইঙ্গিত বহন করেন যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের দোসরদের ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তে মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৭’র ২৬ শে জুলাই রূপমহন সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করেন মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে। তাই আমরা আজকের এই প্রজন্মকে যে মওলানা ভাসানী স্বাধীনতার ইঙ্গিত বহন করেন ১৯৫৭ সালের ৬, ৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ। মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে সকল রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের নৈতিক দায়িত্ব। মওলানা ভাসানী কখনও ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা করেনি, অর্থবিত্তের লোভের উর্ধে ছিলেন। তিনি সকল সময়েই গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে লড়াই করেছেন।