‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃবিভাগীয় আঞ্চলিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, আজ ২৫ ই ফেব্রুয়ারী কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কলেজের আটটি বিভাগ অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্বে ঢাকা ও বরিশাল দল মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যেখানে বরিশাল বিভাগ চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে এবং রানার্সআপ হয় ঢাকা বিভাগ।
ছাত্রশিবির কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি বায়জিদ মাহমুদের পরিচালনায় এবং সেক্রেটারি হাসিব বিন হাসানের সঞ্চালনায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ। আয়োজনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য পেশ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেলাল উদ্দিন রুবেল। প্রধান বক্তা বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে সকলেই স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে। কবি নজরুল সরকারি কলেজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ, যা ভবিষ্যতে আদর্শের প্রতীক হয়ে উঠবে।”
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম আরও গঠনমূলকভাবে তুলে ধরা, যাতে তারা সঠিক বার্তা বুঝতে পারে।”
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার দপ্তর সম্পাদক হাফেজ আনোয়ার হোসেন, বিতর্ক সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম সিফাতসহ কলেজ শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলকে ক্রেস্ট ও তিন হাজার টাকা এবং রানার্সআপ দলকে ক্রেস্ট ও দুই হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিতর্কে সেরা বিতার্কিক ও ফাইনাল সেরা বিতার্কিকদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিতর্ক পরিচালনায় আন্তরিক সহযোগিতা করায় সম্মানিত বিচারকদের সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
একইসাথে রচনা প্রতিযোগিতায় “ক”গ্রুপ ও “খ” গ্রুপ থেকে বিশ জনকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীর জন্য শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে সামনে আরো বেশি শিক্ষামূলক কার্যক্রম প্রত্যাশা করেন। এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।