শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল, ফুলের ডালা এবং প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড় প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শহীদ মিনারে একের পর এক মানুষ আসতে শুরু করে। দল-মত নির্বিশেষে সকলেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব নিয়ে মানুষের অনুভূতি
শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষরা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে তার অধিকার আদায়ের শিক্ষা দিয়েছে। ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করা শহীদদের কারণেই বাংলা আজ রাষ্ট্রভাষা। আন্দোলনের চেতনা এখনও বাঙালির মনে প্রেরণা জোগায়।
“আজিমপুরে থাকি বলে প্রতি বছরই একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে আসি। আমাদের পূর্বসূরীরা যদি ভাষার জন্য জীবন না দিতেন, তাহলে আমরা আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। তাই আজ ভাষা শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।”
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সবার কণ্ঠে একটাই কথা— ভাষার জন্য যে আত্মত্যাগ, তা কখনো ভুলে যাওয়ার নয়।
সারাদেশে একুশে উদযাপন
শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই ভাষা শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রভাতফেরির মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
ভাষা আন্দোলনের শিক্ষা
ভাষা আন্দোলনের এই দিনটি কেবল শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নয়, বরং বাংলা ভাষার মর্যাদা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করারও অনুপ্রেরণা দেয়। শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই ভাষার প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধও তুলে ধরতে হবে।
একুশের চেতনায় এগিয়ে যাক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি—এটাই সবার একমাত্র চাওয়া।