মুহাম্মদ মহসিন আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
সুফিয়া আক্তার নামের এক রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করার জন্য সাধারণ প্রক্রিয়ায় সিরিয়াল নেন। তার সঙ্গে কোনো অভিভাবক না থাকায় পাসপোর্ট অফিসের এডি মনিরুজ্জামানের কক্ষে আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়।
তার জন্মসনদ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের হলেও সঙ্গে থাকা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেয়া। সঙ্গে থাকা কাগজপত্র সত্যায়িত থাকলেও তার বক্তব্য ও আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসা সুফিয়া নামের উক্ত তরুণী কে রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান বাংলা এফএম কে বলেন, “সুফিয়া আক্তার পিতা কালন মিয়া নামে এক তরুণী পাসপোর্ট করতে আসে। কিন্তু তার সঙ্গে অভিভাবক ছিল না, তাই আমি তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলি। পরে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় বিস্তারিত জানতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “একজন সাংবাদিক উপস্থিতিতে আমরা তাকে বিস্তারিত পরিচয় জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু সে তার গ্রামের ঠিকানা পরিষ্কারভাবে বলতে পারেনি। সে স্বীকার করে, আজ রবিবার সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার একটি রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রকল্প থেকে এসেছে।”
মনিরুজ্জামান জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে পাসপোর্ট করতে নিয়ে আসে এবং সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সত্যায়িত উপস্থাপন করে। কাগজপত্র বৈধ মনে হলেও কথাবার্তায় অসামঞ্জস্য ধরা পড়ায় বিষয়টি আরও তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রোহিঙ্গা নারীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার পর পাসপোর্ট অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আটক হওয়া রোহীঙ্গা নারী কিভাবে বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করলো! এ বিষয়ে তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

