বিনোদন ডেস্ক:
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’ মুক্তির পরপরই দর্শকপ্রিয়তা এবং ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করলেও, এরই মধ্যে সিনেমাটি হয়ে গেছে পাইরেসির শিকার। মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে সিনেমার এইচডি ভার্সন, যা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সিনেমাটি দেশের ১৩৩টি সিঙ্গেল স্ক্রিনসহ দেশের সব সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন চলছে গড়ে ৪৬টি শো। দর্শকদের মাঝে সিনেমাটি ব্যাপক সাড়া ফেললেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে একে ফাঁস হতে শুরু করে সিনেমার বিভিন্ন ক্লিপ। এরপরই পুরো সিনেমাটি অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন দর্শক ও সিনেমাপ্রেমীরা। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল ও পরিচালক রায়হান রাফী কোনও মন্তব্য দেননি।
তবে ঈদের আগেই, ৮ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানিয়েছিলেন, পাইরেসি রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ হলে বসে ভিডিও করে ছড়ালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো আইডি বা পেজও ব্লক করা হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, যে সব সিঙ্গেল স্ক্রিনে সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে, সেখান থেকেও যদি পাইরেসি হয়, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে দায় নিতে হবে।
এর আগেও গেল রমজান ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমা একইভাবে পাইরেসির শিকার হয়েছিল। সেই ঘটনায় চার কোটি টাকার ক্ষতির দাবি করেন প্রযোজক শাহরিন আক্তার। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ পাইরেসির সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রেক্ষাগৃহমুখী দর্শক কমিয়ে দেয়। প্রযোজক ও পরিচালকরা নতুন প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পাইরেসি ঠেকাতে কেবল মনিটরিং নয়, প্রয়োজন কঠোর আইন ও তার বাস্তব প্রয়োগ।
তাণ্ডব-এ অভিনয় করেছেন —শাকিব খান, সাবিলা নূর, জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রোজী সিদ্দিকী, ডা. এজাজ, এফএস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু, সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো প্রমুখ।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী। প্রযোজনায় রয়েছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড, সহ-প্রযোজক হিসেবে রয়েছে চরকি এবং সহযোগী হিসেবে দীপ্ত টিভি।