স্টাফ রিপোর্টার:
জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা শমী কায়সার এবার দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায়। তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন’-এর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে সংস্থাটি চেয়েছে বিমানবন্দরের দোকান বরাদ্দ, বিজ্ঞাপন বাবদ বিলবোর্ড স্থাপন, ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল ব্যানারসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথিপত্র ও চুক্তির কপি।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কর্মকাণ্ডের আড়ালে অনুমতি ছাড়াই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করা হয়েছে, যা সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি বরাদ্দের ক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে একচেটিয়া সুযোগ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
দুদক বলছে, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের চুক্তি ও আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান বিশ্লেষণ করে দেখা হবে আদৌ এতে সরকারের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে কিনা, এবং কোনো পক্ষ লাভবান হয়েছে কি না অবৈধ উপায়ে।
এদিকে আরেক আলোচিত ঘটনায়, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর ও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে সরকারি রিলিফের ৬০০ টন চাল আত্মসাৎ করার ঘটনায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
সূত্র বলছে, এই চাল গরিব ও দুস্থ জনগণের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা আত্মসাৎ করে বাজারে বিক্রি করা হয়, যার অর্থমূল্য কোটি টাকার বেশি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলবে নিয়ম অনুযায়ী।
দুদকের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেই হোক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন কঠোর অবস্থানে আছে। শমী কায়সার ও টগর—দুজনের ক্ষেত্রেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।