আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত নতুন ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’। এই ছবিতে অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ছবির ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ঘিরে মুক্তির আগেই তৈরি হয়েছিল নানা আলোচনা ও কৌতূহল। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলেন কৌশানী।
তিনি জানান, পরিচালক সৃজিত মুখার্জি অত্যন্ত সচেতনভাবে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো পরিচালনা করেছেন। শিল্পীরা যেন অস্বস্তি অনুভব না করেন, দৃশ্যগুলোর শুটিং যেন সুষ্ঠুভাবে হয়—এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে মুম্বাই থেকে একজন পেশাদার ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর, আস্থা-কে আনা হয়। কৌশানীর ভাষায়, “আমি, সৃজিতদা আর পরমদা আলাদা করে সেশন করেছি। পুরো ব্যাপারটা খুব টেকনিক্যালভাবে করা হয়েছে। সৌভাগ্য আমার, পরমদার মতো একজন অভিজ্ঞ অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।”
এছাড়া কৌশানী বলেন, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকা মানেই সব ছবিতে তিনি রাজি হবেন—তা নয়। তার মতে, এমন দৃশ্য করতে হলে চিত্রনাট্যে থাকতে হবে যথাযথ গুরুত্ব ও প্রয়োজন। “একটা ছবিতে চুমু দিয়েছি বলে আর সব ছবিতেও করব, এমন ভাবার কারণ নেই,” বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে তার প্রেমিক ও অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কৌশানী জানান, বনি আগে থেকেই সব জানতেন এবং দুজনের মধ্যে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছিল। “বনির সঙ্গে আগেই কথা বলেছি। আমাদের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর বলেই এ ধরনের আলোচনার জায়গা রয়েছে। ওর মতামত শুনে তবেই সিদ্ধান্ত নিই,” বলেন কৌশানী।
তিনি জানান, শুরুতে তাদের দুজনেরই মত ছিল, পর্দায় চুমুর দৃশ্য করবেন না। তবে ‘কিলবিল সোসাইটি’র চরিত্র ও প্রেক্ষাপট বিচার করে তারা দুজনেই বুঝেছেন, এই ছবিতে এমন দৃশ্য করা প্রয়োজন এবং যুক্তিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, ১৩ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘হেমলক সোসাইটি’ ছিল এই ছবির প্রিকুয়েল। দীর্ঘ বিরতির পর সৃজিত তার সেই আলোচিত কাজের সিকুয়েল হিসেবে ‘কিলবিল সোসাইটি’ নিয়ে ফিরেছেন। মুক্তির পর থেকেই ছবিটি নিয়ে দর্শকমহলে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।