কিবরিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুরসহ একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান গালিমপুর-মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তদের মাঝে ৩ টন চাল ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
জানা গেছে, নদীর পানি ডাইক উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার ৮.৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুর ছাড়াও কসবা, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, ঢালারপাড় এবং ইনাতগঞ্জের কয়েকটি এলাকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সরকারিভাবে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। ঈদের আগেই গালিমপুর-মাধবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন।