সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী ও শিশুসহ ১২১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার (২৫ মে) ভোরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাথল সীমান্তে ৪২ জন এবং লাতু সীমান্তে ৭৯ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে প্রথমে বিওপিতে (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) নিয়ে যায় এবং পরে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে এবং তারা কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে কোনো মালামাল,টাকা-পয়সা,মোবাইল বা পরিচয়পত্র ছিল না। শুধু গায়ে থাকা কাপড় নিয়েই তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম সরকার বলেন,”আটককৃতদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে স্বজনদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।”
জানা যায়,জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে এসব বাংলাদেশি ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন। দীর্ঘদিন পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পরিচয়পত্র ও যাবতীয় কাগজপত্র রেখে দিয়ে তাদের সীমান্তে ফেরত পাঠায়।
এই নিয়ে চলতি সময়ে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে পুশ-ইন হওয়া নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৭ জনে।
সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন:আন্তর্জাতিক রীতি লঙ্ঘন করে কেন এমনভাবে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ? বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।