সিলেট প্রতিনিধি:
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। সামান্য বৃষ্টিতেই মহাসড়কের খানাখন্দগুলো রূপ নিচ্ছে ছোট ছোট পুকুরে। ফলে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, বাড়ছে দুর্ঘটনা এবং সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমে রয়েছে। অনেক জায়গায় গাড়ি উল্টে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। যাত্রীদের অভিযোগ, চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ ধীরগতিতে চলায় এ দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।
বিশেষত ঢাকা-সিলেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে জনভোগান্তি এখন চরমে। আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ থাকলেও, নানা জটিলতায় কাজের গতি একেবারে শ্লথ। তিনটি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এর মধ্যে একটি প্যাকেজ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়ার তন্তর পর্যন্তই চার লেনের কাজ হচ্ছে, বাদ পড়েছে তন্তর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর অংশ।
বিশ্বরোড গোলচত্বর, রাধিকা থেকে উজানিসার সড়ক, এবং বিরাশার গ্যাস ফিল্ডের সামনে বিশাল খানাখন্দে প্রতিনিয়ত বাস ও ট্রাক আটকে পড়ে। এসব এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে বাধ্য হন। স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা আশঙ্কা করছেন, ঈদের আগে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
এদিকে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৩০ জুন। অথচ এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৫৭ শতাংশ। অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে আরও দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ।
পথচারী ও যাত্রীদের দাবি, দ্রুত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হোক।