শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মোটর সাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলার পলাশবাড়ির তেতুলতলা রেলঘুন্টি থেকে মোটর সাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে আটকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নীলফামারী রেল স্টেশন পর্যন্ত আসে। সেখানে মোটর সাইকেলটি অপসারণের পর প্রায় ১ ঘন্টা বিলম্বে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী জানান, নিহতরা হলেন, নীলফামারী সদরের চওড়া বড়গাছা আরাজি দলুয়া এলাকার কাল্টু রায়ের ছেলে সন্তোষ রায় (৪০) এবং সেন্টু রায়ের ছেলে ভবেস রায় (২৮)। তারা দুইজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই এবং পেশায় রাজমিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে দুইজন একসঙ্গে মোটর সাইকেলযোগে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পথে পলাশবাড়ি এলাকার তেঁতুলতলা অরক্ষিত রেলক্রসিংটি অসতর্ক অবস্থায় পার হওয়ার সময় তারা দুর্ঘটনার শিকার হন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই রেলঘুন্টির দুই পাশে বাজার থাকায় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেন আসছে কি না তা দেখা যায় না। গেট বা গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সন্তোষ রায়ের বড় ভাই শিবু রায় বলেন, দুইজনেই সকালে কাজে বের হয়েছিলেন। কীভাবে কী ঘটল বুঝে উঠতে পারছি না। তবে শুনেছি ট্রেনের ধাক্কায় তাদের মোটর সাইকেল ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে লেগে নীলফামারী রেলস্টেশন পর্যন্ত চলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোপাল রায় বলেন, এই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। দুই পাশে দোকানপাট থাকায় ট্রেন আসছে কি না দেখা যায় না। গেট বা গেটম্যান না থাকায় এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিঠুন রায় বলেন, দূর্ঘটনার স্থান থেকে ইঞ্জিনের সাথে মোটর সাইকেলটি আটকে গিয়েছিল। স্টেশনে আসার পর সেটি অপসারণ করা হয়েছে। এতে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা বিলম্বে সৈয়দপুর অভিমুখে ছেড়ে গেছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।