উৎফল বড়ুয়া, সিলেট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মম নির্যাতন করেছে। স্বৈরাচার সরকার যখন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে তখন তিনি পায়ে হেঁটে গেছেন। কিন্তু তিনি যখন স্বৈরাচারের কারাগার থেকে বের হয়েছেন তখন তিনি হুইল চেয়ারে বসে বের হয়েছেন। তারপরও তিনি কখনও মনোবল হারাননি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কাছে মাথানত করেননি।

রোববার (৯ মার্চ) সিলেট কনভেনশন হলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্যোগে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
টুকু বলেন, দেশ থেকে কোন স্বৈরাচার পালালে ফিরে আসার নজির কোথাও নেই। যারা পালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাট, হত্যা-গুম, নির্যাতনের বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলের সঙ্গে অন্য দলকে মেলানো যাবে না। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস পুরাতন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন তারা কেউ নেই। আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস তা ওই রাতেই শুরু হয়েছে। ৭১ সালে তারা পালিয়ে ভারতে চলে গেল। তখন বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে রক্ষা করার কোনো লোক ছিল না, জুলাই বিপ্লবে তারা আবার পালিয়েছে, পালানোর ইতিহাস তাদের জন্য মানানসই।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এমএ সালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল হুদা জায়গীদার, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সালেহ আহমদ খসরু, বিএনপি নেতা আজমল বখত সাদেক,সাদিকুর রহমান সাদিক, মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, লোকমান আহমদ ও মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান।