লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য করে সেচ্ছাসেবক দল নেতার ফেইসবুকে পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর ও চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উত্তর চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জ বাজারের বটতলা এলাকায় ইউপি পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রায়পুর ও হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা, পরিস্থিতি থমথমে বিরাজমান।

আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা লিটন হাওলাদার, মর্তুজা মাহি, জয়নাল, মোঃ হেলাল, মোঃ কাউছার, ইশা রুহুল্লা, মোঃ মামুন, কালাম বলি, এল এক্স সোহেল ও আল আমিন মামুনকে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর ও চাঁদপুর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের রায়পুরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর চরআবাবিল ইউপির সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল আমিন মামুন তার ফেইসবুক ওয়ালে একই ইউনিয়ন সভাপতি আবদুল বাসেদ হাওদারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য লিখেন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধায় বাসেদ হাওলাদারের নাতি বিএনপির কর্মী মর্তুজা মাহি তার অনুসারীদের নিয়ে হায়দরগন্জ বাজারে বিক্ষোভ করে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান করছিলেন।
এসময় মাহির প্রতিপক্ষ সর্দার গোষ্টির উত্তর চরআবাবিল ইউপির সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল আমিন মামুন, যুগ্ম আহবায়ক কালাম বলি ও এলএক্স সোহেলের নেতৃত্বে তাদের ২০-২৫ জন অনুসায়ী বিএনপির সভাপতি বাসেদ হাওলাদারের ছেলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিদর্শক লিটন হাওদার, তার ছেলে যুবদল নেতা মর্তুজা মাহিসহ তার লোকজনের উপর লোহার পাইপ, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তাদের মধ্যে মাহির চোখ ও জয়নালের মাথায় বেশি আগাতপ্রাপ্ত হয়। মাহিকে চাঁদপুর চক্ষু ও জয়নালকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল প্রেরণ ও বাকি ৬ জনকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মাহির হোসেন জানান।
এঘটনায় আল আমিন মামুন ও লিটন হাওলাদার একে অপরের বিরুদ্ধে পারস্পারিক বক্তব্য দিয়েছে। তারা উভয় নেতা বলেছেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও রায়পুরের সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভুইয়াসহ দলের উপজেলার নেতারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা তারা মাথা পেতে নিবেন।
এ ঘটনায় রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, ফেইসবুকে পোস্ট দেয়া দিয়ে ‘উত্তর চরআবাবিল ইউপির বিএনপির আহবায়ক আবদুল বাছেদ হাওলাদারের পক্ষের এবং সর্দার গোস্টির সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আল আমিন মামুন ও কালাম বলির লোকদের মধ্যে মিছিল ও মারামারি হয়। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি। প্রয়োজনে দুই গ্রুপকে নিয়ে আবার বসবো।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ‘উত্তর চরআবাবিল ইউপির বিএনপি ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মধ্য ফেইসবুকে পোষ্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে হায়দরগন্জ বাজারে দুই গ্রুপের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।
মো: রবিউল ইসলাম খান
লক্ষ্মীপুর