সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর প্রতিনিধি:
ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের কলেজ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে কলেজ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলটি আবার কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রিয়াদ ইকবালের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
১২ মে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে সুবিধাবাদী, এমনকি অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকা কিছু ব্যক্তিকে পদায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিতরা।
কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, “আমরা যখন ছাত্রদল করতাম তখন যারা ছাত্রলীগ করতো, আজ তারাই এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছে। এটি একটি পকেট কমিটি। আমরা কোনোদিন পদ লোভে রাজনীতি করিনি, কিন্তু অন্যায়ভাবে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের পদ দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
আরেক কর্মী সাহরিয়ার শেখ বলেন, “আমার নামে ৫টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। অথচ আমাকে মূল্যায়ন না করে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”
মিছিলে অংশ নেওয়া মো. ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, “এই কমিটি সম্পূর্ণভাবে টাকার বিনিময়ে গঠিত। ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীরা আজ ছাত্রদল হয়ে পদ পেয়েছেন, আর আমরা যারা মাঠে কাজ করেছি, তারা বঞ্চিত। আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কমিটির দাবি জানাচ্ছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, “রিয়াদ ইকবালের কুশপুত্তলিকা দাহ করে আমরা আমাদের ক্ষোভ ও বঞ্চনার প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা শেষে, কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রিয়াদ ইকবালের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।