সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
মৌলভীবাজার জেলার চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে টমটম পার্কিংকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩০ মার্চ) রাত ১টার দিকে গদার বাজার এলাকায় এই সহিংসতা শুরু হয়,যা দ্রুতই মিশন রোড ও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথ বাহিনী মাঠে নামে এবং সেনাবাহিনীর টহলের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,টমটম পার্কিং ও বাজার সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপ—সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধুর সমর্থকরা এবং বিএনপি নেতা হাজী মুজিবের সমর্থক আনার মিয়া মেম্বারের অনুসারীরা—পরস্পরের মুখোমুখি হয়। প্রথমে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি দিয়ে শুরু হলেও দ্রুতই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দেশীয় অস্ত্র,দা-চাকু নিয়ে দুই পক্ষ একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
সংঘর্ষ চলাকালে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি টমটম ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়, এবং কয়েকটি দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ৫৬ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গলের সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধুসহ ১৪ জনকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে শ্রীমঙ্গলের সচেতন নাগরিকরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা ও হামলার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও,সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।