সামসুল হক জুয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধি:
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন নির্ভীক, দৃঢ়চেতা, দায়িত্ববান, পরিশ্রমী, সৎ, আদর্শবান, ধার্মিক, কর্মীবান্ধব, সৃষ্টিশীল ও দূরদর্শী এক জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ২৬ মার্চ বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের সহায়তায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার ‘বীর উত্তম’-এ ভূষিত হন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান নিজেকে চেয়ারম্যান করে একটি নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন। ১৯৭৯ সালের ফেব্রæয়ারিতে দেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিএনপি ৩০০টির মধ্যে ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক দল বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন এই ক্ষণজন্মা পুরুষ।

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিল, বিএনপি ধসে যাবে। কিন্তু ধসে যায়নি। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্ব নিয়েছেন। আপসহীনভাবে স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্য দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ রকম নেত্রী বাংলাদেশে আর কেউ নেই। এখন জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তাদেরই সুযোগ্য সন্তান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। ‘সবার আগে প্রিয় বাংলাদেশ’ ¯েøাগান ধরে তিনি এরই মধ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. খায়রুল আহসান মিন্টু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও গাজীপুর-৫ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ একেএম ফজলুল হক মিলন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মাষ্টার এর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফী হাবিবুল্লাহ্, সোলেমান আলম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ মৃধা, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. লুৎফুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ইনজামুল হক জাকির, সদস্য সচিব আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন প্রমূখ।
এ সময় কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন আরমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম প্রধান, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন মোমেন সহ উপজেলা, পৌর, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।