রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকি মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শঙ্কর কে. বিশ্বাস জানান, রকির বুকে ছুরিকাঘাত এবং মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকে তিনি অজ্ঞান ছিলেন এবং আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর দরিখারবোনা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে পুলিশি অভিযান ও তার ভাইকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।
রকি সংঘর্ষের সময় রিকশা রেখে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একদল লোক তাকে প্রতিপক্ষ ভেবে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। রকির বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়া গ্রামে। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে রাজশাহীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।