সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা–কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো.হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন,‘‘ আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল,তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো মানসিকতা আমার নেই। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বাকীটা জীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব।’’
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের হোটেল টাইগার প্লাসের কনফারেন্স রুমে উচ্চতর আদালতে ৭০ বছরের সাঁজা থেকে খালাস প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব বলেন,‘‘ যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন,সেই ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড ও অন্যান্য ৪৯ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল।অথচ কথিত ওই ঘটনার দিন আমি সাতক্ষীরায় ছিলাম না,ঢাকায় ছিলাম।’’
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরার জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাব্লু,সাবেক সদস্য সচিব তারিকুল হাসান,সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার,স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি কামরুজ্জামান ভুট্রো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করা হয়। ৫০ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন সাতক্ষীরা আদালতে মৃত্যুবরণ করেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দেয় উচ্চতর আদালত।