জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত চারজনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। তবে নিহতদের কারও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হয়নি এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে দীপ্ত সাহা নামে এক পোশাক ব্যবসায়ীকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। রমজান কাজী, যিনি টাইলস মিস্ত্রির সহকারী ছিলেন, তাকে একই রাতে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়।
সোহেল রানা, একজন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী এবং ইমন তালুকদার, যিনি একটি ক্রোকারিজ দোকানে কর্মরত ছিলেন, তাদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সহিংসতায় রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ শহর
বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষে প্রাণ হারান চারজন এবং গুলিবিদ্ধ হন ৯ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
নিহতদের পরিচয়
১. রমজান কাজী (১৯) – কামরুল কাজীর ছেলে, গ্রাম: হরিণাহাটি, কোটালীপাড়া
২. সোহেল রানা (৩৫) – বাড়ি: শানাপাড়া
৩. দীপ্ত সাহা (৩০) – সন্তোষ সাহার ছেলে, বাড়ি: উদয়ন রোড
৪. ইমন তালুকদার (২৪) – বাড়ি: ভেড়ার বাজার, সদর উপজেলা
চিকিৎসাধীন আহতদের অবস্থা
গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের একজন সুমন বিশ্বাস, যিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর পেটে ও আঙুলে গুলি লেগেছে এবং তিনি বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
ময়নাতদন্ত না হওয়ায় প্রশ্ন
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই মরদেহগুলো দাফন করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।