কারাগারকে শুধু বন্দি রাখার স্থান নয়, বরং একটি আধুনিক ও মানবিক সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জানিয়েছেন, বন্দিদের উন্নয়নের সুযোগ দিতে ‘Correctional Industrial Park’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে কারাবন্দিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে উঠবে এবং জেলে বসেই আয় করে পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারবে। রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষীদের প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, কারারক্ষীরা শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে বন্দিদের পুনর্বাসনে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাদের সততা, দেশপ্রেম ও পেশাগত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার চেতনাকে ধারণ করার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ডেপুটি জেলারগণ কারা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একটি জবাবদিহিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক কারা প্রশাসন গঠনে প্রধান বাহক। কারা বিভাগের নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল জ্যামার, বডিস্ক্যানার, সার্কিট ডিটেক্টরসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে তিনি জানান, কারারক্ষীদের সাহসিকতা ও দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ জেল মেডেল’ প্রবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত কারা সদস্যদের জন্য আজীবন রেশন সুবিধা প্রদানের বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের পুরস্কৃত করেন। ডেপুটি জেলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ কৃতিত্ব অর্জন করেন মোছাঃ খাদিজা খাতুন লিমা এবং বেস্ট ফায়ারার নির্বাচিত হন ডিএম নুসরাত আল ইসলাম। কারারক্ষী ব্যাচে সেরা হন সুব্রত চন্দ্র সরকার ও বেস্ট ফায়ারার নির্বাচিত হন রায়হান মিয়া। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোঃ মোতাহের হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, আরএমপি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম এবং কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট মোঃ কামাল হোসেনসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারও পরিদর্শন করেন।
প্রবণতা
- উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৯, শতাধিক আহত
- পঞ্চগড়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
- উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত: ১ জন নিহত, আহত ২৭
- বিমান বিধ্বস্তে শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: নিহত-৩, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি-৬০ জন
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির লাইফ সাপোর্টে: আইএসপিআর
- উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : দগ্ধ ২৭ জনের অধিকাংশই শিক্ষার্থী, অবস্থা আশঙ্কাজনক
- বিধ্বস্ত ভবনটিতে ক্লাস শেষে চলছিল ১০০-১৫০ জন শিক্ষার্থীর কোচিং