বাংলা এফএম নিউজ ডেস্ক:
সচিবালয়ের চলমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন ও সংকট নিরসনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর থেকে দেশে ফিরলেই—এমনটি জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।
বুধবার (২৮ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিগুলো ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সফর শেষে তাঁর দেশে ফেরার পরই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এ সময় ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, আন্দোলন-বিক্ষোভ ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ভূমি সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নিয়ে চলমান অসন্তোষের মধ্যে সরকার একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এই কমিটি গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবারের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ চারটি অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব বিধান সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে এবং তা ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, অনানুগত্য, ছুটি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, প্ররোচনা ও কর্তব্যে বাধাদান—এই চার অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তার সাত কর্মদিবসের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হয় এবং ২৫ মে তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
সরকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের মধ্যে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকলেও সংকট কাটাতে ড. ইউনূসের দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে সচিবালয়।