কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘটে যাওয়া আলোচিত ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন ভুক্তভোগী নারী। শান্তি বজায় রাখার জন্য আগেই মামলা তুলে নেওয়ার কথা জানালেও, পারিবারিক আলোচনার পর এখন তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে নিজেই সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি, তাই মামলা চালাব। রোববার আমার স্বামী প্রবাস থেকে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে—আমরা মামলা চালিয়ে যাব।”
মুরাদনগর থানায় দায়ের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনের দুটি মামলারই বাদী এই নারী। ধর্ষণ মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় আসামি ফজর আলী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজনার্স সেলে রাখা হয়েছে। আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে, তাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পর্নোগ্রাফি মামলায় এজাহারনামীয় চার আসামিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় আরও ২৫–৩০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন জানান, “ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্নোগ্রাফি মামলার আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ভিডিও ধারণ, প্রচার এবং এর পেছনে কারা জড়িত—সব খতিয়ে দেখা হবে।”
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, “ভিকটিম মামলা করেছেন। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। মানবাধিকারকর্মী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছেন।