যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে বর্তমানে ১৫ % শুল্ক আরোপের পর ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছর থেকে ৩৫ % বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা চিঠির মাধ্যমে করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। শুল্ক বৃদ্ধি ব্যবসায়ীরা ও অর্থনীতিবিদরা গাম্ভীর্যসহকারে নেন এবং সরকারের নেগোশিয়েশনের কিছুই উপযুক্ত নয় বলছেন তাঁরা—কারণ এ সিদ্ধান্ত তৈরি পোশাক খাতকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে, অন্যান্য কৃষি ও রপ্তানিমুখী পণ্যেও বড় চাপ দেবে।
বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বিপর্যয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সময় মতো বাণিজ্য আলোচনা না করে মার্কিন বাজারে আস্থা হারিয়েছে; লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ না করায় ক্ষতি হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ড. মোস্তাফিজুর রহমান এই শুল্ক সাধারণ অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যও বহন করে বলে মন্তব্য করেন।
বিকেএমইএ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, শুল্কের চূড়ান্ত প্রভাব তখনই জানা যাবে যখন চীন ও ভারতের ক্ষেত্রেও নির্বাচনমূলক শুল্ক আরোপ হবে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখতে দ্রুত আলোচনার প্রয়োজনীয়তা আছে। র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে নতুন শর্ত চাপাচ্ছে, কিন্তু এসব শর্ত সরকার গণমাধ্যমে প্রকাশ না করায় প্রস্তুতি নেয়া যায়নি।
সবমিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কনীতির ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত একটি বড় ঝুঁকির মুখে পড়ছে, প্রস্তুত নেগোশিয়েশন ও কূটনৈতিক উদ্যোগ ছাড়া এটি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।