চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুবা ফারজানা।

কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ছাড়াও চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা অংশ নেন। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অনুসন্ধানী সাংবাদিকরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালা পরিচালক ও উপ-প্রকল্প পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবু সাদেক চামড়া শিল্পের সংকট নিয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুত্তালিব, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার জনাব মো. আবুল কাশেম আজাদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জনাব শহীদুল ইসলাম।
বক্তারা চামড়া শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গণমাধ্যমের করণীয় এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা বিনা সুদে অর্থায়ন করে এতিমখানাগুলোকে সম্পৃক্ত করে চামড়া সংগ্রহের একটি উদ্ভাবনী বিজনেস মডেলের প্রস্তাব দেন।

প্রধান অতিথি জনাব মাহবুবা ফারজানা বলেন, “চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে এই শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনা উন্মোচিত হলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
কর্মশালার সভাপতি ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. কাউসার আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালক ড. মারুফ নাওয়াজ ও উপপরিচালক জনাব সুমনা পারভীন।

কোরবানির সময় চামড়া সংগ্রহে দক্ষতা উন্নয়ন ও সংকট নিরসনের জন্য গবেষণাধর্মী ও বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জোর দেন বক্তারা। উত্তম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মশালার সফলতা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হয়।