মো. গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাস আবারও উঁকি দিচ্ছে রাজশাহীতে। জুন মাসের প্রথম ১৫ দিনে রাজশাহী জেলায় নতুন করে ৪০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে জেলার জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) সূত্র জানায়, বর্তমানে নিয়মিতভাবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে। গত ১৫ দিনে ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশ। যদিও এটি শুরুর সময়কার তুলনায় কিছুটা কম, তবু হারটি বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে উদ্বেগজনক।
রাজশাহী জেলার সিভিল সার্জন ডা. এসএমএম রাজিউল করিম জানান, “এই হার আশঙ্কাজনক হলেও রাজশাহীতে এখনো হটস্পট বলা যাবে না, কারণ সবগুলো নমুনা শুধুমাত্র রামেক ল্যাবে পরীক্ষিত।” তিনি বলেন, “সংক্রমণ শুরু হয়েছে ঈদের আগেই। প্রকৃত পরিস্থিতি নিরূপণে আরও অন্তত এক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি, এটিই ইতিবাচক দিক।”
করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। চালু রাখা হয়েছে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের বিশেষ মেডিকেল টিম।
রামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলো খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তবে ভারতের কিছু সাব-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সরকার সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়াতে পারে।”
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, “সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।” তিনি আরও জানান, করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং আলাদা মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে। নাগরিকদের সচেতনতা ও সতর্কতাই হতে পারে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়।