বাংলাদেশ সরকার আবারও পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্তটি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো একটি চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৭ এপ্রিল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, পূর্বের মতো বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শর্ত পুনরায় যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে বাংলাদেশের প্রচলিত পাসপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকত যে এটি “বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ, তবে ইসরায়েল ব্যতীত।” ২০২০ সালে দেশে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার পর এই শর্তটি চুপিসারে বাদ দেওয়া হয়, যদিও সে সময় সরকারিভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি।
এই পরিবর্তন নিয়ে ২০২১ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ২২ মে জেরুসালেম পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ হয়তো ইসরায়েল ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। এর পরদিনই তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তবে সরকারের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে পাঠ করা ঘোষণাপত্রে আবারও এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দিকেই ইঙ্গিত করে।