ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত আরও তীব্র আকার নিচ্ছে। কাশ্মীর সীমান্তে উভয় দেশের সামরিক বাহিনী পাল্টাপাল্টি হামলায় লিপ্ত হয়েছে। এই ঘটনার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের দেশগুলোতেও।
বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েকটি স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ভারতীয় এই হামলায় অন্তত আটজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় এবং দাবি করে—তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা এবং একটি রাজনৈতিক দলের নেতার পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের ডাক এসেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহও একই আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
এদিকে আকাশপথেও উত্তেজনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাতেই পাকিস্তানের আকাশসীমায় উত্তেজনার কারণে বাংলাদেশগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ফিরে আসে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছু এয়ারলাইন্স এখন বিকল্প রুট ব্যবহার করছে।
বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক মহলে এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম দেখানোর এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।