ক্রীড়া ডেস্ক:
মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভারের বিকেএসপি মাঠে হাজির হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করে সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে।
সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তামিমের হার্টে একটি রিং পরানো হয়েছে। তার অবস্থার এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তামিম।
তবে এখনও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার।
তামিমকে দেখতে সাভারের কেপিজি হাসপাতালে একে একে আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি এবং পরিচালকরা। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পাশাপাশি নাজমুল আবেদিন ফাহিম মাহবুবুল আনাম সহ আরও বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের দেখা গিয়েছে।
এছাড়া বন্ধু তামিমকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান মুশফিকুর রহিম। তিনি ছাড়াও মলিন মুখে হাসপাতালে হাজির হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এ সময় বেশ চিন্তিত ছিলেন তারা।
এর আগে তামিমের হার্টে সফলভাবে রিং পরানো হয়। কেপিজি হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি তামিম ইকবাল ভাই আজ সকাল বেলা অসুস্থ হয়েছিলেন।
সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে বিকেএসপিতে অসুস্থ হন। এখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা। কিন্তু উনার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়, এই গুরুতর অবস্থায় আবার আমাদের কাছে আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুরুতর অবস্থা থেকে যতরকম চিকিৎসা দরকার সবই করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে উনার অবস্থা অনুকূলে আছে। উনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এটার জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্ট ও স্টেন্ট করা হয়েছে।
স্টেন্টিং খুব স্মুথ ও কার্যকরভাবে হয়েছে। এটা করেছেন ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। উনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। এখনো উনি পর্যবেক্ষণে আছে, গুরুতর অবস্থা এখনো কাটেনি। এটা একটু সময় লাগবে। সবাই উনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি।’