সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে দু”পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
আজ শনিবার সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পৃুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং মারামারির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,উভয়পক্ষ তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে সর্বশেষ গত শুক্রবার নূর মিয়া ও আশিক মিয়ার পক্ষের লোকজনদের নিয়ে গ্রামে শিরনীর আয়োজন করা হয়েছিল। ঐদিন সন্ধ্যায় ঠাতকুরভোগ গ্রামের প্রতিপক্ষ আবদাল মিয়া ও সুফি মিয়ার পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে, শনিবার সকালে তারাও শিরনীর আয়োজন করবেন।
মাইকের এমন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে ঠাকুরভোগ গ্রামে। শনিবার সকালে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন প্রায় ৩০ জন। আবদাল মিয়া ও সুফি মিয়া পক্ষের আহতরা হলেন মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়া, সুফি মিয়ার ছেলে জুবেল আহমদ, মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানস ওরফে হাবিব মিয়া, মিজানুর রহমান, মখলিছ মিয়ার ছেলে সেবুল মিয়া, আবুল মিয়া, মনির মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, সৈয়দ মিয়ার ছেলে জমিদার আলী, মৃত আশাদ খা্র ছেলে রেকুল খান, মৃত আরজু মিয়ার ছেলে ফখরু মিয়া, মৃত কমির মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া।
অপরদিকে নূর মিয়া-আশিক মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন-ঠাকুরভোগ গ্রামের মৃত তছই মিয়ার ছেলে নূর মিয়া, মৃত আবকুল খা্#ঁ৩৯;র ছেলে শিহাব মিয়া, মৃত রমজান খা্র ছেলে আরজান খাঁ, মৃত আবদুল নূরের ছেলে মতলিব মিয়া, মৃত ইসবর খা্#ঁ৩৯;র ছেলে শাহ জাহান খান, আকিক মিয়া, সাজিদ মিয়া। এসময় আরো বেশ কয়েকজন আহত লোকজনের পরিচিয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শাস্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বৃষ্টির পানি চেয়ে শিরনির আয়োজনকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।