আজ ০৫ মার্চ, ২০২৫ (বুধবার) সকাল ১০:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবীতে নন-এমপিও সংগঠনের মোর্চা “সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’’ এর উদ্যোগে ১১তম দিনের শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মোঃ সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে ১১তম দিনের লাগাতার অবস্থান কার্যক্রম শুরু হয়।
নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পাওয়ার ২০-২৫ বছর বা তারও অধিক সময় ধরে নন এমপিও থাকবে, প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে না, শিক্ষক কর্মচারীরা সরকারি বেতন ভাতাদী পাবে না তা হতে পারে না। শিক্ষক কর্মচারীরা এই রমজান মাসে রাজপথে থেকে বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করবে এটা আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আশা করি না। জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজকে অভুক্ত রেখে, অবহেলা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমি বিএনপির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ করছি অনতিবিলম্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমি শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূইয়া। তিনি বলেন, স্বীকৃতির জন্য যেসকল নীতিমালা রয়েছে, নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করে স্বীকৃতি লাভ করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওর ক্ষেত্রে স্বীকৃতিই একমাত্র মানদন্ড। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভুক্ত না করে ধ্বংসের দারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন, শ্রম নীতিমালার পরিপন্থী ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। পৃথিবীর কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় এমপিওভুক্তির নীতিমালা নেই, একাডেমির স্বীমৃতি এমপিওভুক্তির নীতিমালা। তাই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওর দাবিতে শিক্ষকদেরকে আমরা রাজপথে দেখতে চাই না। অনতিবিলম্বে নন এনপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিয়ে তাদেরকে বাড়ী পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই সিলেবান ও পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠদান, পরীক্ষা থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ সরকারি বেতন ভাতাদী ও অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা পান। আর নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ সরকারি বেতন ভাতাদীসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান না, এটা একটা চরম বৈষম্য। এই বৈষম্য দূর করে সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন, নন-এমপিও সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ দবিরুল ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ মনিমুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ ইমরান বিন সোলায়মান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মোঃ এরশাদুল হক, সমন্বয়ক সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবুল, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ আবতাবুর আলম ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন সহ আরো অনেকে।