মাগুরায় বর্বরোচিত নিপীড়নের শিকার শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয়দের তীব্র ক্ষোভের কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ তার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। স্বজনদের আহাজারিতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো গ্রামে। শিশুটির বাবা-মা ও নিকটাত্মীয়রা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
শিশুটির বাবা বলেন, “আমার সন্তানের সাথে যে পাশবিকতা করা হয়েছে, আমি তার বিচার চাই। অপরাধীর এমন শাস্তি হোক, যাতে আর কেউ এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।”
শিশুটির জানাজা শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়ির সামনে জড়ো হয়। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, কিন্তু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকায় বারবার পার পেয়ে যেত।
উত্তেজিত জনতা প্রথমে অভিযুক্তের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে, এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে বাড়ির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাগুরা) জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে।
শিশুটির মৃত্যু ও পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
এদিকে, ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মানবাধিকার সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি এই ধরনের অপরাধ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।