দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সূচক নিম্নমুখী থাকলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে, তবে দৈনিক গড় লেনদেন ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে নেমেছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫ হাজার ২২৬ পয়েন্ট। একই সময়ে ডিএস–৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে ১৪৯টির দর বেড়েছে, ২০৭টির দর কমেছে, আর ৩৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া, ১৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি।
লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের ১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
খাতভিত্তিক লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাত ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ লেনদেন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, এর পরই বস্ত্র খাত ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং প্রকৌশল খাত ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ লেনদেন নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ খাতেই শেয়ারের দরপতন হয়েছে, তবে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সেবা ও আবাসন খাতে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১২ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৫৫৯ পয়েন্টে নেমেছে। তবে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানির মধ্যে ১৫৪টির দর বেড়েছে, ১২৪টির দর কমেছে এবং ২৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল।