স্পোর্টস ডেস্ক
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লক্ষ্য ছিল ২৪৫ রানের। ৩০০ বলের তাড়ায় ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। অথচ মুহূর্তের মধ্যেই সব হিসাব-নিকাশ ওলট-পালট। হাসারাঙ্গা-মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে মাত্র ২৫ বলের ব্যবধানে ৫ রানেই ৭ উইকেট হারায় টাইগাররা। যা ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট পতনের সবচেয়ে কম রানের লজ্জাজনক রেকর্ড।
এর আগে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট পতনে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে ৮ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল তারা। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেল বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য ২৪৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা ছিল আত্মবিশ্বাসী। শান্তর উইকেট হারালেও শতরান ছুঁয়ে ফেলেছিল টাইগাররা মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে। কিন্তু এরপর শুরু হয় ধস। বিশেষ করে স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি টাইগার ব্যাটাররা।
হাসারাঙ্গা ৪ উইকেট ও কামিন্দু নেন ৩ উইকেট, যার অধিকাংশই আসে ওই ভয়াবহ ২৫ বলের সময়টায়।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা ৬.১ ওভারে মাত্র ২৯ রানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিসের ৬০ রানের জুটি দলের ভিত্তি গড়ে দেয়।
আসালাঙ্কা এরপর একে একে লিয়ানাগে (২৯), মিলান রত্নায়েকে (২২) ও হাসারাঙ্গা (২২)-এর সঙ্গে গড়েন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ১২৩ বল খেলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৬ রান করেন আসালাঙ্কা। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
বল হাতে বাংলাদেশ দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ৮ ওভারে ৪৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তরুণ তানজিম হাসান সাকিব শিকার করেন ৩ উইকেট, ৪৬ রানে। তবে শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট হয়নি।
স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২৪৪/১০ (৪৯.১ ওভার)
আসালাঙ্কা ১০৬, কুশাল মেন্ডিস ৪৫; তাসকিন ৪/৪৭, তানজিম ৩/৪৬
বাংলাদেশ: (শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত) ১০০/১ থেকে ১০৫/৮