চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইন্টার মিলান। ম্যাচটি হবে ইন্টারের হোম গ্রাউন্ডে—আর তাই নিজেদের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ খুঁজছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। তবে দলটির জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ অধিনায়ক লাওতারো মার্টিনেজের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা।
হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে প্রথম লেগের পর থেকে আর মাঠে নামতে পারেননি আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। যদিও ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাগি জানিয়েছেন, লাওতারো মাঠে ফেরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে তাঁর ফিটনেস দেখার জন্য।
ইনজাগি বলেন, “ম্যাচে খেলতে যা কিছু করা সম্ভব, লাওতারো তাই করছে। আমরা আজ তাকে দেখব, তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব মেডিকেল টিম ও খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনা করে।”
গত সপ্তাহে বার্সেলোনার সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল ইন্টার। সেই ম্যাচেই চোট পান লাওতারো। এরপর থেকে তিনি কেবল একটি অনুশীলন সেশনে অংশ নিয়েছেন।
চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লাওতারো ইতিমধ্যেই করেছেন ৭টি গোল, যার মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগেই বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গোল করে দলের বড় অবদান রাখেন।
তবে ইনজাগি স্পষ্ট জানিয়ে দেন—লাওতারো যদি ম্যাচ শুরু করতে না পারেন, তাহলে বেঞ্চে রেখে শেষ দিকে তাকে নামানোর পরিকল্পনা করা হবে না। কোচের ভাষায়, “যদি কেউ শুরু থেকেই খেলতে না পারে, তাহলে শেষ ২৫ মিনিটে তাকে দিয়ে কিছু করানো সম্ভব নয়।”
ইন্টারের আরও এক দুশ্চিন্তার নাম ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড। যদিও তিনি অনুশীলনে ফিরেছেন এবং ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে, তবুও ফিটনেস পুরোপুরি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন ইনজাগি।
প্রতিপক্ষ বার্সেলোনার তরুণ তারকা লামিন ইয়ামালের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ইন্টার কোচ। প্রথম লেগে দুর্দান্ত খেলা এই স্প্যানিশ উইঙ্গার এক গোল করার পাশাপাশি দুইবার বল পোস্টে মেরে ইন্টারের ডিফেন্সকে চাপে ফেলেছিলেন।
ইনজাগি বলেন, “ওকে থামানো খুব কঠিন হবে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তার বল পাওয়া কমিয়ে আনতে ডাবল মার্কিং করব এবং সবসময় চাপ প্রয়োগ করে রাখব।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে সবচেয়ে অবাক করেছে ওর চিন্তার গতি। বল পাওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে কী করতে চায়। এটা একজন বিশেষ প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরই বৈশিষ্ট্য।”