বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র তিন মাস হলো। আর এরই মধ্যে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর প্রথম বড় পরীক্ষা—জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। সিরিজের আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছিল হালকা রসিকতা, আন্তরিকতা আর লক্ষ্যপূরণের প্রত্যয়।
৬২ বছরে পা রেখেছেন সদ্যই—তবে জন্মদিন নিয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখা গেল না ফিল সিমন্সের মাঝে। সংবাদ সম্মেলনে হেসেই বললেন, ‘আমি এখন আর জন্মদিনের উপহার চাওয়ার পর্যায়ে নেই।’ এরপর যোগ করলেন, ‘তবে যদি খেলোয়াড়রা উপহার দিতেই চায়, তাহলে প্রথম ম্যাচটা জিতলেই চলবে।’
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি রোববার থেকে শুরু হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ঘরের মাঠ, প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ফেভারিটের আসনে থাকলেও সিমন্স এখনই সিরিজ জয়ের বড় স্বপ্নে বিভোর নন। বরং ধাপে ধাপে এগোনোর কথা বললেন তিনি।
‘আমি হোয়াইটওয়াশ বা সিরিজ জয়ের ব্যাপারে এখন কিছু ভাবছি না। একটা ম্যাচ জিততে হলে প্রথমেই প্রথম দিনটা জিততে হবে। সেদিকেই এখন মনোযোগ।’—বললেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান।
বাংলাদেশ দলের অনেকেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে সিলেটে যোগ দিয়েছেন ১৪ এপ্রিল থেকে। প্রস্তুতির সময় স্বল্প হলেও সন্তুষ্ট কোচ। সিমন্স বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি দারুণ হয়েছে। এখানকার সুযোগ–সুবিধা অসাধারণ। স্বপ্নের মতো লাগে। যা যা দরকার, সবই হাতে পেয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক কিছু করে ফেলেছি আমরা।’
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের পর এটাই প্রথমবারের মতো সাদাপোশাকের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। ফলে এই সিরিজ কেবল সিমন্সের প্রথম চ্যালেঞ্জ নয়, বরং দলের জন্যও এক ধরনের নতুন শুরু। আর সেই শুরুর প্রথম দিনে যদি জয় ধরা দেয়—তবে সেটিই হবে ফিল সিমন্সের জন্য সবচেয়ে বড় জন্মদিনের উপহার।