বাংলাদেশে হামজা চৌধুরীর আগমনে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের সঞ্চার হয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত। সিলেটে তার আগমনের খবরে শহরজুড়ে উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে।
হামজা চৌধুরী, যিনি লেস্টার সিটির হয়ে খেলেছেন এবং বর্তমানে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে রয়েছেন, এবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন। তার বাবা-মা বাংলাদেশি হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডে এবং সেখানেই তার ফুটবল ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে। তবে হৃদয়ে দেশের টান অনুভব করেই তিনি বাংলাদেশের জার্সি পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররা মনে করেন, হামজার একার পক্ষে বাংলাদেশের ফুটবল বদলে দেওয়া সম্ভব নয়, তবে তার উপস্থিতি দলকে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে তরুণ ফুটবলারদের জন্য এটি হতে পারে এক নতুন দিগন্তের সূচনা। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার অভিজ্ঞতা এবং কৌশল দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স উন্নত করতে সাহায্য করবে।
তবে শুধু একজন খেলোয়াড়ের আগমনে দেশের ফুটবলকে তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, শক্তিশালী ঘরোয়া লিগ, এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরির ব্যবস্থা। হামজার মতো আরও কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় যদি দলে যুক্ত হতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের ফুটবল দৃশ্যপট বদলাতে পারে।
এশিয়ান ফুটবলে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে হলে দলগত প্রচেষ্টা এবং কাঠামোগত উন্নয়ন অপরিহার্য। হামজার উপস্থিতি সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা যেতে পারে।