বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাম্প্রতিক সময় এফডিআর (স্থায়ী আমানত) স্থানান্তর নিয়ে চলমান আলোচনার পর আজ আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে।
বোর্ড দাবি করেছে, অর্থের নিরাপত্তা ও বেশি মুনাফার স্বার্থেই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া, এই পদক্ষেপের ফলে বোর্ডের আর্থিক লাভও বেড়েছে বলে জানানো হয়।
🔹 কী ঘটেছে:
বিসিবি জানিয়েছে,
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিচালনা পর্ষদ আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ ক্যাটাগরিভুক্ত নিরাপদ ব্যাংকগুলোর সাথে লেনদেন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এর অংশ হিসেবে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়, যার মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় নিরাপদ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোতে।
বাকি ১২ কোটি টাকা বোর্ডের পরিচালন ব্যয়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
🔹 সভাপতি একক সিদ্ধান্ত নেননি:
বিসিবি কড়াভাবে অস্বীকার করেছে যে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তারা স্পষ্ট করেছে,
বোর্ডের ফিন্যান্স কমিটি চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম লেনদেনে স্বাক্ষর প্রদানকারী।
অর্থাৎ, সভাপতি সরাসরি এসব সিদ্ধান্তে যুক্ত নন, বরং বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই সব হয়েছে।
🔹 বিনিয়োগের ফলাফল:
বিসিবি দাবি করেছে, নতুন বিনিয়োগের ফলে:
- ২% থেকে ৫% পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে আগের তুলনায়।
- গত ছয় মাসে, তিনটি ব্যাংকিং অংশীদার থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পাওয়া গেছে।
- অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস মিলেছে।
🔹 টাকা কোন ব্যাংক থেকে কোথায় সরানো হলো:
টাকা তোলা হয়েছে:
- মিডল্যান্ড ব্যাংক
- বেসিক ব্যাংক
- আইএফআইসি ব্যাংক
- এক্সিম ব্যাংক
- ইউসিবি ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
টাকা পুনঃবিনিয়োগ হয়েছে:
- ইস্টার্ন ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- মেঘনা ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
- (এছাড়া কিছু অর্থ আবার অগ্রণী ব্যাংকেও রাখা হয়েছে)
🔎 প্রেক্ষাপট:
গত আগস্টে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও রদবদল হয়।
এরপর আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার ওপর জোর দেয় বর্তমান বোর্ড।
তবে সাম্প্রতিক এফডিআর স্থানান্তর ইস্যুতে কিছু গণমাধ্যম এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার অভিযোগ তোলা হলে, আজকের এই ব্যাখ্যা আসে বিসিবির পক্ষ থেকে।