দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনালের মধ্য দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরের সমাপ্তি ঘটে। হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হওয়ায় গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি ছিল সীমিত, তবে টিভি ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টুর্নামেন্টটি রেকর্ড সংখ্যক দর্শক উপভোগ করেছেন।
আইসিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মোট দর্শকসংখ্যা ২৫০ বিলিয়ন মিনিটে পৌঁছেছে, যেখানে স্টার স্পোর্টসে ১৩৭ বিলিয়ন মিনিট এবং জিওহটস্টারে ১১০ বিলিয়ন মিনিট দেখা হয়েছে। বিশেষ করে ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ব্যাপক দর্শক আকর্ষণ করেছে।
ফাইনাল ম্যাচটি টিভিতে ১২২ মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন, আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টারে ৬১ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। আইসিসি একে ক্রিকেটের ডিজিটাল দর্শকসংখ্যার নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশ্বকাপ ব্যতীত, এটি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে টিভিতে দেখা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।
এছাড়া, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, যেখানে টিভিতে ২৬ বিলিয়ন মিনিট ভিউ হয়েছে, যা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৯.৫ বিলিয়ন মিনিটকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ফাইনালের সফল সম্প্রচারের ফলে টিভি রেটিং ১০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ২০৬ মিলিয়ন দর্শক সরাসরি ম্যাচটি উপভোগ করেছেন। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এই উচ্চ ভিউয়ারশিপ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আট বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রত্যাবর্তন অভূতপূর্ব হয়েছে।
বিশেষ করে ফাইনাল ম্যাচের বিপুল দর্শকসংখ্যা ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেছে। আইসিসির ইভেন্টগুলো বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকদের একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং নতুন ক্রিকেটপ্রেমী তৈরি করছে।’