গোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে সাবেক শিক্ষার্থী ও গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা গণধোলাই দিয়েছে। ঘটনার পর তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আলিফ বর্তমানে প্রেসক্লাবের কোনো পদে নেই এবং তিনি কোনো জাতীয় পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত নন। তথাপি তিনি প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রেখে তা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুৎসামূলক পোস্ট দিয়ে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।
এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুরে শেখ রাসেল হলে অবস্থানকালে উত্তেজিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করে।
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
গোপালগঞ্জ সদর থানার কর্তব্যরত অফিসার জানান, “সে থানাতে আছে, আমি যতটুকু জানি তার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে প্রক্টর
অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজিবকে মুঠোফোনে যোগাযোগের করলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সর্বশেষ তথ্য মতে আলিফকে নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় প্রক্টরিয়াল বডি অবস্থান করছে।