বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষকদের আলোচিত অনলাইন ভাইরাল সভার ভিডিও এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় প্রজেক্টরে দেখানো হয়েছে। প্রজেক্টরে ভিডিও দেখানোর পর ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গত বছরের ৪ই আগস্ট শিক্ষকদের ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের করা অনলাইন ভিডিও সভা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংঘ প্রজেক্টরে দেখান।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টরে ভিডিটি দেখানো হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ভিডিও প্রদর্শনের পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিক্ষোভ করে অনলাইন সভায় বক্তব্য দিয়ে আন্দোলনের বিপক্ষ নেয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে সিন্ডিকেট থেকে অবিলম্বে অপসারণ ও অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে সিন্ডিকেটে বহাল করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
জুলাই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদি বাঁচাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) শিক্ষকদের ডাকা একটি মিটিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশ ব্যাপি তুমুল সমালোচনা ঝড় শুরু হয়। যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ৪ই আগস্ট অনুষ্ঠিত ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের ঐ ভিডিওতে দেখা যায় ববির তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটা অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শেখ হাসিনরে পাশে দাঁড়িয়ে যেকোনো উপায়ে সরকার পতন ঠেকাতে শিক্ষকদের বদ্ধপরিকর হতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মোকাব্বেল শেখ বলেন, আজকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংঘ ব্যানারে যে প্রদর্শনী হয়েছে এটা হচ্ছে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝাতে চেয়েছি যে কাদের সাথে আমরা প্রতিনিয়ত ক্লাস করতেছি এবং যারা আমাদের নীতি-নৈতিকতা শেখাচ্ছে আসলে তারা ভিতরে কতটুকু ফ্যাসিবাদ লালন করে।যখন রাস্তাঘাটে পুলিশের গুলিতে আহত নিহত হচ্ছি এবং আওয়ামীলীগের রোষানলে বাসা থেকে বের হতে পারছি না,ক্লাস করতে পারছি না,তখন তারা আমাদের উপর নগ্ন হামলা ও হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করছে।এটা আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে চেয়েছি তারা যেন সচেতন হয় এবং আগামী দিনে এই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে বিনির্মাণ করবে তারা যেন নিজেরাই ঠিক করতে পারে।এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিও নিয়ে সারাদেশ ব্যাপি তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।